রাকিব হাওলাদার: ২য় শিফটের পারিশ্রমিক হ্রাসের প্রতিবাদে’ শেরপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গনে কর্মবিরতি ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। এ আয়োজনে অংশ নেয় অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মকর্ত ও কর্মচারিবৃন্দ।
গত ১লা জুন ২০১৮ থেকে বেতন দেয়া হচ্চেনা শিক্ষকদের। এতে দেশের ৬৪টি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বিতীয় শিফটের ২২ হাজার এবং ৪৯টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে প্রায় ৭৫ হাজার শিক্ষার্থী দুর্ভোগে পড়েছে। এ বিষয়ে শিক্ষকরা জানান, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, মনোটেকনিক ইনস্টিটিউট ও টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে দ্বিতীয় শিফট চালু করে সরকার। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে একই শিক্ষক-কর্মচারী দিয়ে দুই শিফট পরিচালনা করা হচ্ছে। এ জন্য মূল বেতনের ৫০ শতাংশ হারে শিক্ষক-কর্মচারীদের অতিরিক্ত সম্মানী দেওয়া হতো এবং তা আরও বাড়ানোর কথা ছিল। কিন্তু ২০১৮ অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক পরিপত্রে ২০০৯ সালের বেতন স্কেলের ৫০ শতাংশ হারে অতিরিক্ত ভাতা প্রাপ্য হবেন বলে বলা হয়েছে, যা বর্তমান বেতন স্কেলের ২৫ শতাংশ। এর পর থেকেই সম্মানী হ্রাসের প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।
কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের আশ্বাসে তারা ক্লাস-পরীক্ষা চালিয়ে নেন। কিন্তু সময় গড়ালেও এর কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি না পেয়ে ফের আন্দোলন শুরু করেছেন তারা। এরই পেক্ষিতে গত ১লা ফেব্রুয়ারি ২০২০ থেকে ইনস্টিটিউটের শিক্ষকরা ২য় শিফটের সম্মানী ভাতার দাবিতে ক্লাস বর্জন করছেন তারা। শিক্ষকরা আরও জানান তাদের এ সমস্য সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তারা তাদের প্রতিবাদ কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। এবং তারা ২য় শিফট থেকে অব্যাহতির দেওয়ারও হুশিয়ারি দেন।