দেশের সব সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে গতকাল শনিবার থেকে দ্বিতীয় শিফটের ক্লাস বর্জন করেছেন শিক্ষকরা। প্রত্যাশিত বেতন-ভাতার দাবিতে তারা এ আন্দোলন করছেন। এতে দেশের ৬৪টি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বিতীয় শিফটের ২২ হাজার এবং ৪৯টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে প্রায় ৭৫ হাজার শিক্ষার্থী দুর্ভোগে পড়েছে।
শিক্ষকরা জানান, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, মনোটেকনিক ইনস্টিটিউট ও টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে দ্বিতীয় শিফট চালু করে সরকার। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে একই শিক্ষক-কর্মচারী দিয়ে দুই শিফট পরিচালনা করা হচ্ছে। এ জন্য মূল বেতনের ৫০ শতাংশ হারে শিক্ষক-কর্মচারীদের অতিরিক্ত সম্মানী দেওয়া হতো এবং তা আরও বাড়ানোর কথা ছিল। কিন্তু ২০১৮ অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক পরিপত্রে ২০০৯ সালের বেতন স্কেলের ৫০ শতাংশ হারে অতিরিক্ত ভাতা প্রাপ্য হবেন বলে বলা হয়েছে, যা বর্তমান বেতন স্কেলের ২৫ শতাংশ। এর পর থেকেই সম্মানী হ্রাসের
প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের আশ্বাসে তারা ক্লাস-পরীক্ষা চালিয়ে নেন। কিন্তু সময় গড়ালেও এর কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি না পেয়ে ফের আন্দোলন শুরু করেছেন তারা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ পলিটেকনিক শিক্ষক পরিষদের সভাপতি মো. তাহের জামিল আমাদের সময়কে বলেন, ‘১৯৮৩ সাল থেকে দুই শিফটে ক্লাস নিলেও শিক্ষকরা ন্যায্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ ছাড়া নীতিমালা অনুযায়ী কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মাহপরিচালক ও পরিচালক পদে কারিগরি ক্যাডারদের নিয়োগ দেওয়ার কথা। কিন্তু দুই বছর ধরে এসব পদে চলতি দায়িত্বে প্রশাসন ক্যাডারদের বসানো হচ্ছে। তারা আমাদের সুবিধা-অসুবিধাগুলো গুরুত্ব দেন না।’ তিনি আরও বলেন, ‘অতিরিক্ত দায়িত্বের জন্য আগের মতো বেতনের ৫০ শতাংশ প্রদান, ভবিষ্যতে তা শতভাগে উন্নীতকরণসহ পরিচালক ও মহাপরিচালক পদে কারিগরি ক্যাডার নিয়োগের দাবিতে আমরা দ্বিতীয় শিফটের ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়েছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’ dainikamadershomoy