দেশের ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬৪ ভাগকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধক টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। আজ জাতীয় সংসদে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ১৬ লাখ ২৩ হাজার ৩২২ জন। এদের মধ্যে আমরা গতকাল (রোববার) পর্যন্ত ৭৭ লাখ ১৮ হাজার ৩৩৭ জনকে অর্থাৎ ৬৪ দশমিক ০৪ শতাংশ শিক্ষার্থীকে প্রথম ডোজ টিকা দিতে সক্ষম হয়েছি। পৃথিবীর অনেক দেশের এত বিশাল জনসংখ্যাও নেই। স্কুল পর্যায়ে আমাদের এত বেশি শিক্ষার্থীকে টিকা দিতে পেরেছি।
গত রোববার জাতীয় সংসদে নতুন বছরের প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সোমবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনা অংশ নিয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
নওফেল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের সব শিক্ষকদের টিকা দিতে পেরেছি, প্রায় শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে হলে থাকা শিক্ষার্থীর ৯০ ভাগকে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। আমরা পর্যায়ক্রমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা কলেজ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে সর্বত্র স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে দিতে পেরেছি।
তিনি বলেন, করোনা টিকা সংকটের কারণে পৃথিবীর অনেক দেশই এখন টিকা দিতে পারছে না। সেখানে আমাদের শিক্ষা পরিবারের মধ্যে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) একেবারে বিদ্যালয় পর্যায় পর্যন্ত টিকা দেওয়ার জন্য তা সংগ্রহ করিয়েছেন। সেটা দিতে পারছি। এটার জন্য তাঁকে (প্রধানমন্ত্রী) বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই।
শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি সারা বিশ্ব যেখানে করোনা মহামারির দুর্যোগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সেখানে আমাদের দেশে যারা এখনো প্রাপ্তবয়স্ক হয়নি তাঁদের জন্য ফাইজারের মতো দামি টিকা দেওয়া হচ্ছে।
করোনার সময়ে সরকার ডিজিটাল মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থা চালু রাখতে পেরেছে বলে জানান শিক্ষা উপমন্ত্রী। বর্তমান সরকার কারিগরি শিক্ষায় নজর দিচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। বলেন, আমরা আমাদের নতুন কারিকুলামের মধ্যে বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করছি। জার্মানি, সিঙ্গাপুরসহ উন্নত বিশ্বে যেটা বাধ্যতামূলক, যা আমাদের দেশে ছিল না। যেটা বঙ্গবন্ধুও চেয়েছিলেন।