দেশের সকল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ও টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ সমূহের ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের ২য়, ৪র্থ ও ৬ষ্ঠ পর্বের পরীক্ষা শুরু হলো আজ।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে পরীক্ষার ব্যাবস্থা করেছে কতৃপক্ষ। প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে থার্মোমিটার এ সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের শরীরের তাপমাত্রা মেপে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করানো হচ্ছে।
যদি করোনা পজিটিভ হয় বা শারিরীক তাপমাত্রা বেশি থাকে তাহলে তাকে পরিক্ষার কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দিবে না তো, যদি সে পরিক্ষা দিতে না পারে তাহলে কি তাকে অটোপ্রমোশন দিবে সরকার বা শিক্ষা মন্ত্রী..?
যেখানে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ সেখানে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের পরিক্ষা নিচ্ছে সরকার।যদি পরিক্ষা নিতে হয় সবার নিতো সরকার এই সব সিদ্ধান্ত মেনে নেয়া খুব কষ্টজনক।শিক্ষামন্ত্রী তার মন খেয়ালি যা ইচ্ছা করতাছে এটা ঠিক না 14 লক্ষ শিক্ষার্থীদের জীবন নিয়ে খেলতাছে শিক্ষামন্ত্রী।আচ্ছা পরিক্ষা চলাকালীন যদি কোনো শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায় তাহলে এর দায়বার কে নিবে.? এর দায়বার কি সরকার নিবে.?
যদি মারা যায় তার বিনিময়ে কিছু টাকা দিলেই কি তার প্রতিদান হয়ে যায়.? সব কিছু টাকা দিয়ে সমাধান হয় না সেটা মাথায় রাখা উচিত কারণ এক একটা জীবনের মূল্য টাকা দিয়ে হয় না।আপনজন হারানোর ব্যথায় সেইজন বৃথিত হয় যার আপনজনন হারায়।শিক্ষামন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রীকে একটা কথা বলতে চাই 20 কোটি মানুষের মাঝে 1 লক্ষ মানুষ মারা গেলেও আপনাদের কিছু যায় আসবে না কারণ আপনারা তো শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত চিন্তা করেন না, আপনারা তো রাজনীতি নিয়ে চিন্তা ভাবনা করেন আর সব কিছুই রাজনীতি দিয়ে সমাধান করেন এটা ঠিক নয়।
যেখানে HSC আটোপ্রমোশন দিয়ে দিলো সেখানে পলিটেকনিকদের দিলো না কেন এই রকম অবহেলিত করে রাখেন জানতে চাই.?
ডিপ্লোমা শেষ হলে HSC এর সমমান সেখানে একটা সেমেস্টারেরর তাত্বিক বিষয়ে অটোপ্রমোশন দিয়ে দিলে কি এমন সমস্যা হতো জানতে চাই..?? যদি অটোপ্রমোশন দিবেন না তাহলে HSC পরিক্ষার্থীদের দিলেন কেন ..?
অবশেষে বলতে চাই এই ভাবে যদি পার্থক্য করে রাখেন একটা সময় পলিটেকনিকে কেউ ভর্তি হবে না তখন আপনারা পড়াশোনা কইরেন।
অনেক কথা বললাম ভূল হলে ক্ষমা করবেন।আর আমাদের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিন।
ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং পরিক্ষার রেজাল্ট, পরিক্ষা শেষ হওয়ার কতদিনের মধ্যে প্রকাশিত হয়।