কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের বিভিন্ন পরীক্ষা, উত্তরপত্র মূল্যায়ন, পুনঃনিরীক্ষণের কয়েক কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি। সেই সঙ্গে গত ২০ বছরের বোর্ডের আয়ের হিসাব নিরীক্ষণ করলে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া যাবে বলেও মত দিয়েছে তারা। যার অংশ হিসেবে সম্প্রতি কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আয়-ব্যয়ের হিসাব চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বিভিন্ন পরীক্ষা গ্রহণ, নতুন প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন, নজরদারিসহ নানা বিষয়ে ওঠে অনিয়মের অভিযোগ। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে তদন্ত কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এরপর তদন্তে ব্যাপক অনিয়মের প্রমাণ পায় তদন্ত কমিটি। প্রতিবেদন জমা দেয়া হয় ২০১৯ সালের শেষে। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, পরীক্ষা থেকে আয় করা ৪০ থেকে ৫০ ভাগ টাকা বোর্ডের তহবিলে থাকার কথা। কিন্তু, সেই টাকার হিসাব তদন্ত কমিটিকে দেখাতে পারেনি বোর্ড।
২০০৯ থেকে ১৪ সাল পর্যন্ত বোর্ডের পরীক্ষা বাবদ আয়ের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। বোর্ডের কতটি ব্যাংক হিসাব আছে সেই তথ্যও তদন্ত কমিটিকে দিতে পারেনি তারা। এ রকম নানাখাতেই স্বচ্ছতার ব্যাপক ঘাটতির প্রমাণ পাওয়া যায়।
এই প্রতিবেদনে অংশ হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বোর্ডের কাছে তাদের সব আয়-ব্যয়ের হিসাব চাইছে। অনিয়মের বিষয়ে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মোরাদ হোসেন মোল্লা জানান, সব হিসাব তাদের কাছে আছে।
বাংলাদেশ পলিটেকনিক শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জি. এম. আকতার হোসেন বলেন, কাঙ্খিত সেবা পেতে হলে কারিগরি বোর্ডে স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা আনতে হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম জানান, স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে বোর্ডের সব কাজ ডিজিটালাইড করা হবে।
IndependentTV