কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগবিধি- ২০২০ প্রকৃত পক্ষে ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের জন্য “শুভংকরের ফাঁকি” ছাড়া কিছুই না। “কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের পলিটেকনিক সেকশনে বেশ কিছু দিন ধরে পদোন্নতির বিষয়ে দ্বিধাদ্বন্দ বিরাজ করছে।
ফলে আমাদের শিক্ষাবার্তা ডট কম পত্রিকার পক্ষ থেকে পলিটেকনিকে ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের স্বাক্ষাতকার নেওয়া হয়। এতে স্পষ্ট উঠে আসে যে, ক্রাফট ইন্সট্রাক্টর ১৭তম গ্রেডে (২০১১ নিয়োগ বিধিতে যা ছিল ১৫তম গ্রেড)পলিটেকনিক্য-এ কোন পদ নাই।
কার্যত আমাদের প্রতিনিধিরা এই বিষয় নিয়েই পর্যবেক্ষন শুরু করে। পর্যবেক্ষনে দেখা যায় যে, ৪র্থ শ্রেনির কর্মচারীদের একটাই প্রতাশ্যা তার যেন পদোন্নতি পায়। এই দিধাদন্ধ দূর করতেই নিয়োগ বিধি আপগ্রেড কমিটি সদস্য সচিব ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ আক্কাস আলী শেখ বলেন ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীরা আমাদের ছোট সন্তানের মত এবং তাদের জন্য আমরা যথেষ্ট আন্তরিক।
কিন্তু এখানেই দেখা যায় যে, শষ্যের মধ্যে ভুত। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের বিশ্বস্ত সূত্র থেকে আমরা জানাতে পায় যে, ক্রাফট ইন্সট্রাক্টর ১৭তম গ্রেডে সপ্ এবং টিআর মিলে মোট পদ আছে ৮টি।
নিয়োগ বিধির সদস্য সচিব আরও বলেন, ক্রাফট ইন্সট্রাক্টর ১৭তম পদ বাদে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটারসহ মোট ৪টি পদে তাদের পদোন্নতির বিধান রয়েছে। তিনি শিক্ষাবার্তা ডট কম-কে আরও বলেন আমাদের ৪র্থ শ্রেনির যত পদ ফাকা আছে তাতে পদোন্নতি দেওয়ার কোন প্রার্থী বাদ থাকবে না।
উল্লেখ্য যে, বর্তমান গ্রেডেশন তালিকা অনুযায়ী ৪র্থ শ্রেনির মোট কর্মচারী প্রায় ৩৫০ জন। “কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের পলিটেকনিক্যাল সেকশনে পদোন্নতির পদ সংখ্যা ও পদোন্নতির শর্ত অনুযায়ী ৪র্থ শ্রেনির কর্মচারীরা আদোও পদোন্নতি পাবে কিনা তা অনিশ্চিয়তা।
বিভিন্ন সরকারী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট বাকাশিঅকস এর সাধারণ সম্পাদকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তাঁরা বলেন আমাদের ১৭তম গ্রেডে পদোন্নতি দিলে সেটা হবে আমাদেরকে জোর করে চাপানো, তবে যৌক্তিক নিয়ম অনুযায়ী ১৫তম গ্রেডে পদোন্নতি দিলে আমরা সন্তষ্ট।
ঢাকা বিভাগের পলিটেকনিক্যাল সেশনের ৪র্থ শ্রেনির কর্মচারীদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তারা জানান যে, যদি আমাদের পদোন্নতি না হয় এবং পদোন্নতির জন্য কোন দরজা খোলা না থাকে তাহলে যে কোন সময় আমরা আন্দোলন, আমরন অনশন অথবা মামালায় যেতে বাধ্য হবো।
সূত্রঃ শিক্ষাবার্তা