চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের হাতে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির বলেছেন, পরিস্থিতির কারণে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা হয়েছে। এই ঘটনার শিকার উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মো. নূর আলম রোববার (১৯ জুলাই) রাত ১১টায় কচুয়া থানায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ তিনজনকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা করেছেন।
জানা গেছে, রোববার দুপুরে কচুয়া শহীদ স্মৃতি বালিকা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি নতুন ভবনের দোতলার ছাদের ঢালাই কাজ চলছিল। এসময় সেখানে হাজির হন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির। অনিয়ম হচ্ছে এমন অভিযোগ তুলে উপস্থিত ঠিকাদার রনি ও সহকারী প্রকৌশলী মো. নূর আলমকে কাজ বন্ধ রাখার কথা বলেন তিনি। একপর্যায়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উত্তেজিত হয়ে সহকারী প্রকৌশলীকে লাঞ্ছিত করেন।
এসময় সেখানে উপস্থিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপায়ন দাস শুভ উত্তেজনা প্রশমিত করেন।
এই ঘটনার পর স্থানীয়ভাবে বাধা পেয়ে আহত সহকারী প্রকৌশলী মো. নূর আলম চাঁদপুরে গিয়ে চিকিৎসা নেন। পরে রাতেই কচুয়া ফিরে থানায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির, তার সহযোগী হোসেন (২৫) ও জহির (২৮) এই তিনকে অভিযুক্ত করে মামলা করেন। এতে প্রকৌশলী অভিযোগ করেন, সরকারি কাজের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন। এসময় প্রতিপক্ষরা তাকে হত্যার চেষ্টা করে। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ অন্যদের হস্তক্ষেপে প্রাণে রক্ষা পান তিনি।
মামলার বিষয় কচুয়া থানার ওসি মো. ওয়ালী উল্লাহ জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপায়ন দাস শুভ ঘটনার কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সংসদ সদস্যকে অবগত করেছি।
তবে ঘটনা সম্পর্কে ভিন্ন কথা বলেন, কচুয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির। তিনি বলেন, ছয় তলা বিশিষ্ট স্কুলভবন নির্মাণে অনিয়ম হচ্ছে। এমন অভিযোগ পেয়ে গত বৃহস্পতিবার কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলাম। পরে রোববার আবার কাজ শুরু করলে সেখানে গিয়ে কাজ বন্ধ রাখার জন্য তাদের নির্দেশ দিয়েছি। কিন্তু কথা না শুনে কাজ চালিয়ে যাওয়ায় ঠিকাদার এবং প্রকৌশলীকে কয়েকটা ধাক্কা দিয়েছি।
এছাড়া অন্য কিছু হয়নি বলে অস্বীকার করেন তিনি। তবে অনিয়ম আর দুর্নীতির সঙ্গে আমার আপোষ নেই। এমন কথাও বলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান।