সাহিন আলী
নিরুপায় এখন চলে যেতে চায় মন, গৌড় রাজ্যের ভগ্নাবশেষের খোঁজে।
প্রাচ্য’র অক্সফোর্ডের আনাচে কানাচের আমের মুকুল, নিয়ে যায় আমার রাজ্যে।
আমের রাজ্যের রাজা আমি,এখন নির্বাসনে; দিয়েছো বেঁধে উচ্চশিক্ষার বেড়াজালে।
তাহার কি দোষ?নিজ দোষে দোষী আমি।
স্মৃতিগুলো পড়ে মনে,ভাসি আমি আঁখিজলে।
দেখ আবার ফুটেছে কুঁড়ি বিটপীর শাখে; মাতোয়ারা মন, বারংবার যায় ছুটে।
পদ্মার অববাহিকায় গড়ে উঠা সে, স্বপ্ন আমার পড়ে রয়েছে তারই তটে।
তটের একপাশে অবিরত ছুটে মহানন্দা, তাহার কৃপায় আজও বহমান পাগলা।
সাদা সাদা কাশফুলে দু’ধার ভরপুর আঁকাবাকা উপকূলে গড়ে উঠা গ্রামগুলা।
ছেলেবেলা কেটেছে মোর গ্রামের আঙিনায় অজস্র স্মৃতির সমাধি পড়ে রয়েছে সেথায়।
তেল-নুন,কাঁচামিঠা এবং সিন্দুরি মনে পড়ে বাতাবি-শিমুল ফুলও কুড়িয়েছি খুব ভোরে।
হয় না আর মার্বেল,লাটিম ও বর-বউ খেলা জ্যোৎস্নারাতে আকাশে বসতো তারারমেলা তারারাও বদলে গেছে,
দেখেনা আমার ক্ষত জ্যোৎস্নাও মাখে না আমায় আর আগের মতো।
চোখ বুজলেই স্মৃতিগুলো আনমনে করে খেলা, পড়েছি আমি একোন মহাবিপদের জ্বালায়।
স্মৃতির শরাঘাতে মুমূর্ষু আমি; ইট-পাথরের শহরটাও অপূর্ণ ভালবাসায়,পূর্ণ অবহেলায়।
ছন্নছাড়া মন,শোনেনা বারণ, ছুটে চলে আলোক গতিতে গ্রামের পথে-প্রান্তরে।
শৈশব, কৈশোরের সোনালি মুহূর্তগুলো:- হবে কি উপায়?পেতে চাই আবার ফিরে।
অতঃপর রাজা করিল গমন স্মৃতিসন্ধানে; চিরচেনা প্রকৃতি আর নিজ রাজ্যের পানে।
একি হলো হায়! সবই সৃষ্টির রহস্যে গাথা; তাই তো চেনা শহরটাও রাখেনি মনে।
চিরচেনা প্রকৃতি টাও মজা লুটে বলে ওঠে ঐই দেখ গ্রামে নতুন অতিথি এসেছে।
বোবা কান্নায় বুক ফাটে, মলিন হয় মুখ, সর্বহারা আমি,কি বা আর বলার আছে।
সাহিন আলী
দর্শন বিভাগ (২য় বর্ষ)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়