প্রতিদিন গাণিতিক হারে করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগির সংখ্যা রেড়েই চলছে। বর্তমানে রোগির সংখ্যা দেশে সাড়ে ৫হাজার হয়ে গেছে। প্রতিদিন এর সংখ্যা বাড়ছে। এই ভাইরাস থেকে জনগণকে মুক্ত রাখতে সরকার নানাবিধ কর্মসূচী গ্রহন করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছে। সেইসাথে প্রতিটি জেলাকে ঝুঁকিপূর্ণও ঘোষনা করা হয়েছে। সারা দেশের ন্যায় রাজশাহীকেও লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছে। জনগণকে ঘরে থাকার জন্য সর্বদা প্রশাসন এবং আনশৃংখলাবাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু মানুষ সেভাবে সাড়া দিচ্ছেনা। একটু সুযোগ পেলেই বেড়িয়ে পড়ছে হাটে মাঠে ও ঘাটে। এর নমুনা স্বরুপ প্রতিদিন লক্ষ্মীপুর, কোর্ট ও মাস্টারপাড়াসহ বিভিন্ন কাঁচা বাজারে শুরু হয় জনসমাগম। কেউ সরকারী নির্দেশনা মেনে বাজার করেনা।
এই অবস্থায় রাজশাহী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাস্টার পাড়া পাইকারী বাজার ও কোর্ট কাঁচা বাজার বেশ কয়েকদিন পূর্বেই অন্যত্র স্থানান্তরিত করেছেন। আজ সোমবার সকাল থেকে রাজশাহী ল্যাবরেটরী স্কুলে স্থানান্তরীত হলো রাজশাহীর ব্যস্ততম বাজার লক্ষ্মীপুর কাঁচা বাজার। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যেয়ে লোকসমাগত দেখা যায়নি। অনেক দোকানদারগণ যার যার দোকান সাজানো নিয়ে ব্যস্ত। আবার কেউ কেউ বেচা বিক্রি শুরু করেছে। ব্যবসায়ী হায়দার আলী ও ইজাদারা মাসুমসহ অন্যান্য দোকানদারগণ বলেন, এই স্কুল মাঠে ব্যবসা কার কোনভাবেই সম্ভব নয়। কারন শুধু কাঁচা বাজার হলে তারা ব্যবসা এখানে করতে পারবেন না। কাঁচা বাজারের সাথে মাছ, মুগরী ও গোস্তের দোকান এখানে আসলে হয়ত ব্যবসা করা সম্ভব হবে জানান তারা।
তারা আরো বলেন, এমনিতেই প্রতিদিন শত শত কাঁচা সবজী ব্যবসায়ী ভ্যান নিয়ে নগরীর পাড়ায় পাড়ায় ব্যবসা করছে। এরফলে তাদের ব্যবসা অনেক কমে গেছে। মাছ, মাংস ও মুরগী কিনতে এসে জনগণ একসাথে কাঁচা বাজারও করে নিয়ে যায়। কিন্তু এভাবে ছিন্ন ভিন্ন স্থানে বাজার হলে কাঁচা তরীতরকারী ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখে পড়বে জানান এখানকার ব্যবসায়ীগণ।
এদিকে বাজার করতে আসা রফিকুল, সাব্বির, আক্কাস আলী, শুভ ও মিনারুলসহ অন্যারা প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা বলেন, বাজার করতে একটু সময় বেশী লাগবে। এক স্থানে অন্যস্থানে যেতে হবে। তাতে তাদের কোন সমস্যা নাই। কারন এতে জনসমাগণ একসাথে হবে না। কেই থাকবে কাঁচা বাজারে কেউ মাংস ও মুরগীর দোকানে। এতে অনেকটা দুরত্ব বজায় রেখে নিরাপদে বাজার করা যাবে বলে জানান তারা।
সূত্রঃ বরেন্দ্র বার্তা