বর্তমান যুগ ডিজিটাল বা উন্নত যুগ যে যুগে সবাই এডভান্স কিছু চায় তাও কম খরচে এবং ভালো মানের। এই ভালো কিছু করতে হলে আপনাকে হাতে কলমে শিক্ষা লাভ করতে হবে। তাই কারিগরি শিক্ষা দিচ্ছে আপনাকে হাতে কলমে শিক্ষা। কারিগরি শিক্ষার একটি অংশ ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং যা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এ পড়ানো হয়। যারা এই ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স শেষ করে তাদের বলা হয় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার বা সহকারী প্রকৌশলী।
এছাড়া একজন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার এর মান গ্রেডিং এ
১৪ যা ইন্টার ও অনার্স এর মাঝামাঝি।
তো এখন আসি জেনারেল নিয়ে। এসএসসি এর পর একজন ছাত্র ইন্টার ভর্তি হলো পাস করলো। তার গ্রেড হলো ১২। অনার্স ও শেষ করল তখন তার গ্রেড হলো ১৬। বুঝলাম যে তার অনার্স শেষ করার পর গ্রেড অনুযায়ী ডিপ্লোমার চেয়ে বেশি। কিন্তু একটা বিষয় খেয়াল করুন অনার্স জেনারেল এর শাখা যেখানে হাতে কলমে শিক্ষা দেওয়া হয়না। এ থেকে বোঝা গেল সে শুধু বই পড়েছে কিন্তু বাস্তব জ্ঞান লাভ করেনি বা নিজে হাতে কাজ করা শেখেনি।
তাই এ বিষয় থেকে তুলনা করে দেখুন যে একজন অনার্স শেষ করা ছাত্র ও একজন ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করা ছাত্র এর মধ্যে কে বেশি কাজ শিখেছে ও বাস্তব জ্ঞান অর্জন করেছে। আমি বলছি একজন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ই বেশি কাজ শিখেছে কারন সে বইও পড়েছে আবার হাতে বাস্তব কাজও করেছে।
এছাড়া ইন্টার ও অনার্স শেষ করতে সময় লাগে ৬ বছর কিন্তু ডিপ্লোমা শেষ করতে সময় লাগে ৪ বছর।
তহলে এখন চাকরির দিকে যাই। একজন সরকারি চাকরি দাতা বা কোম্পানির মালিক সে কাকে কাজে নিবে? অবশ্যই যার বাস্তব অভিজ্ঞতা আছে তাকে। কারন তদের মূল লক্ষ কাজ করানো। প্রতিষ্ঠান এর আয় বাড়ানো।
এছাড়া চাকরির ক্ষেত্রে দেখা গেছে একজন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার এর বেতন ৪০,০০০ বা ৬০,০০০ বা তারও বেশি হয়। কিন্তু যারা জেনারেল থেকে অনার্স শেষ করে তাদের চাকরিও কম হয় আবার বেতন ও কম।
তাই এই সকল বিষয় বিবেচনা করলে বোঝা যায় যে জেনারেল এর থেকে পলিটেকনিক এ পড়া অনেক ভালো।
সবাইকে ধন্যবাদ। আসা করি সবাই বুঝতে পেরেছেন।কোথাও না বুঝতে পারলে কমেন্ট করুন।
মোঃ রুহুল আমিন লেমন
ডিপ্লোমা ইন মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার।
প্রকাশক, পলিটেকনিক বার্তা।
পোস্টটি শেয়ার করুন। সবাইকে জানার সুযোগ করে দিন।