ইতালি তে যে ভুল করেছে, আমরা যেন সে ভুল গুলো না করি।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে তিনটি কাজ অবশ্যই করতে হবে আমাদের। যার কোন বিকল্প নেই-
একঃ বাহিরে বের হওয়া বন্ধ করে দেই। বন্ধ মানে একবারে বন্ধ। আপনার পাড়ার বা মহল্লার দোকানেও নয়। আত্মীয়, বন্ধু, প্রতিবেশী কারও বাড়িতে যাবেন না, তাদেরও নিজের বাড়িতে ডাকবেন না। যেখানে ভিড় বেশি, সেই জায়গা এড়িয়ে চলুন।
দুইঃ সব সময় সাধারণ হাইজিন মেনে চলি। খাবার আগে ও পরে এবং ঘন্টায় অন্তত একবার করে সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধোন। নাকে-মুখে হাত যথাসম্ভব কম দিন।
তিনঃ আমি একা কি করব? “সবাই তো মানছে না” – এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসুন। আপনার মাধ্যমে যদি একজনও ক্ষতিগ্রস্থ হয় সে হল আপনার প্রিয়জন। বাবা-মা-স্বামী-স্ত্রী-সন্তান-ভাই-বোন আত্মীয়স্বজন। যার সঙ্গে আপনি দিনের বেশিরভাগ সময় কাটাচ্ছেন তাকে আপনিই মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছেন না তো? বয়স্ক মানুষ ছাড়াও যাদের হাইপ্রেসার, সুগার, হার্টের অসুখ, কিডনি, ক্যান্সার বা অন্য কোনো সাধারণ ক্রনিক রোগ আছে, করোনা ভাইরাসের সংস্পর্শে এলে তাঁদেরও মৃত্যুর হার কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
এই তিনটি বিষয়, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল বাহিরে বের না হওয়া।
কতদিন না বেরিয়ে থাকা সম্ভব? ঠিক দু-সপ্তাহ।
আপনি হয়ত স্ট্রং, সাধারণ ফ্লুয়ের উপসর্গও নেই। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও আপনি ঠিক সুস্থ হয়ে যাবেন। কিন্তু চোদ্দদিনের মধ্যে আপনি যদি কোন অন্য মানুষের সংস্পর্শে আসেন তাহলে তাঁর জীবন বিপন্ন হতে পারে।
এটা ভেবে আমরা সবাই যদি চলি তাহলে আমরা সকলেই সুস্থ থাকব।
তাই চলুন আমরা সবাই নিয়ম মেনে ঘরে থাকি, সবাই মিলে সুস্থ থাকি।
লেখক :
মোঃ রুহুল আমিন লেমন
ডিপ্লোমা ইন মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার।